বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৬ অপরাহ্ন
স্বাস্থ্য ডেস্ক:
গোপনাঙ্গের স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে এখনও অনেকেই স্বচ্ছন্দ নন। কিন্তু শারীরবৃত্তীয় কাজগুলো তো বন্ধ হয় না। সকলের যে সমস্যা হবেই, এমনটা নয়। কিন্তু সমস্যা হলে অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না, ঠিক কী করা উচিত। প্রাথমিকভাবে এই ছোট ছোট সমস্যাগুলোকে অবহেলা করলে পরবর্তীতে সেখান থেকেই বড় কোনো সংক্রমণ হতে পারে। এমনকি, সন্তানধারণে সমস্যা হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।কিন্তু জটিল এই রোগগুলোর সূত্রপাত হয় সচেতনতার অভাব থেকে।
১. বেশিক্ষণ এক স্যানিটারি প্যাড পরে থাকবেন না : প্রতিমাসেই মেয়েদের ঋতুস্রাব হয়। সে সময় স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার করেন অনেকেই। কিন্তু বাড়ির বাইরে প্যাড পাল্টানোর সমস্যা হয় বলে একটি প্যাড অনেকক্ষণ পরে থাকতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অভ্যাস যৌন স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। তাই, যেভাবেই হোক- ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা পর পর প্যাড পালটে ফেলার অভ্যাস করুন।
২. সুগন্ধিযুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না : গোপনাঙ্গ পরিষ্কার করতে অনেকেই সুগন্ধিযুক্ত সাবান ব্যবহার করেন। চিকিৎসকদের মতে, দেহের বিশেষ এ অংশের জন্য আলাদা তরল সাবান থাকলেও, তা ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। শরীরের এই অংশটি অতিরিক্ত স্পর্শকাতর, তাই পানি দিয়ে পরিষ্কার করাই ভালো।
৩. মিলনের পর গোপনাঙ্গ পরিষ্কার করুন : শারীরিকভাবে মিলিত হওয়ার পর, যত তাড়াতিড়ি সম্ভব পানি দিয়ে গোপনাঙ্গ পরিষ্কার করে নিন। না হলে মূত্রাশয় বা মূত্রনালিতে সংক্রমণ হতে পারে।
৪. পরুন সুতির অন্তর্বাস : ঘাম কম হয়, বাতাস চলাচল করে এমন অন্তর্বাস পরুন। বাজারে অনেক ধরনের অন্তর্বাস পাওয়া যায়। কিন্তু চর্মরোগ চিকিৎসকরা সব সময়ে সুতির জিনিসের ওপরই জোর দেন।
৫. নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন : সমস্যা হচ্ছে না বলে চিকিৎসকের কাছে যাবেন না এমন অভ্যাস কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য ঠিক নয়। কারণ, এ বিষয়ে কথা বলতে অনেকেই সঙ্কোচ বোধ করেন। তাই কোনো সমস্যা হলে তা বুঝতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়।
ভয়েস/আআ